কোলন ক্যান্সারের সাধারণ কারণসমূহ
কোলন ক্যান্সার হঠাৎ করে হয় না, বরং ধীরে ধীরে কিছু অভ্যন্তরীণ ও জীবনধারাজনিত কারণে গড়ে ওঠে। অস্বাস্থ্যকর খাবার, কোষ্ঠকাঠিন্য, ধূমপান, এবং পারিবারিক ইতিহাস এর পেছনে বড় ভূমিকা রাখে। এসব কারণ সম্পর্কে জানা থাকলে
রোগ প্রতিরোধ করা অনেক সহজ হয়।
১. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
যেসব খাবারে ফাইবার কম এবং চর্বি বা প্রক্রিয়াজাত মাংস বেশি থাকে, সেগুলো কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। যেমন: লাল মাংস, সসেজ, বার্গার, ভাজাপোড়া, ফাস্টফুড ইত্যাদি। এছাড়া ফলমূল ও সবজি কম খাওয়াও অন্ত্রের
স্বাস্থ্য খারাপ করে।
২. কোষ্ঠকাঠিন্য ও অনিয়মিত টয়লেট অভ্যাস
দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে কোলনের ভেতরে বিষাক্ত পদার্থ জমে থেকে কোষে ক্ষতি করতে পারে। এভাবেই ধীরে ধীরে টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
৩. পারিবারিক ইতিহাস
যদি পরিবারের কারও কোলন ক্যান্সার বা পলিপের ইতিহাস থাকে, তাহলে ঝুঁকি দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এমন ক্ষেত্রে ৪০ বছর বয়সের আগেই স্ক্রিনিং করানো উচিত।
৪. বয়স
৫০ বছর পার হওয়ার পর কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে তরুণদের মধ্যেও এটি বাড়ছে, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে।
৫. স্থূলতা ও শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা
ওজন বেশি থাকা বা নিয়মিত ব্যায়াম না করা কোলনের কার্যকারিতা কমায়। ফলে কোষে চাপ পড়ে এবং ক্যান্সার কোষ গঠনের সম্ভাবনা বাড়ে।
৬. ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন
ধূমপানের ক্ষতিকর রাসায়নিক কোলন কোষে পৌঁছে ডিএনএ ক্ষতি করতে পারে। অ্যালকোহলও শরীরে প্রদাহ বাড়িয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করে।
৭. ডায়াবেটিস ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স
যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা দীর্ঘসময় বেশি থাকে, তাদের শরীরে কোষ বিভাজন বেশি হয়—যা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৮. দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগ
যেমন: আলসারেটিভ কোলাইটিস বা ক্রোনস ডিজিজ। এই রোগগুলোতে অন্ত্রের কোষে বারবার প্রদাহ হয়, যা
ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে।